"পড়িলে বই আলোকিত হই না, অন্ধকারে রই" নিজকে পড়িলে আলোকিত হই! 💚
"নিজের সাথে মিথ্যাচার বা চাতুরীর উপর ভিত্তি করে কারো উন্নয়ন হতে পারে না। “মানুষকে অবশ্যই জানতে হবে তার কী আছে” এবং “কী নেই” !!!
আমাদের সকল ধর্মগ্রন্থ সাগরের তীর পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেটা তোমার অজান পথের সঙ্গী হতে পারে না। তা অজানাই থেকে যায়। তাহলে কে তোমাকে এই সাগর তরাবে, সেই অচিহ্নিত স্থানে নিয়ে যাবে?
যদি তুমি কারো উপর আস্থা স্থাপন করো, যদি তুমি কাউকে এমন গভির ভাবে ভালোবাসতে পারো যার জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে পারো...... গুরুই হলেন সেই ব্যক্তি যে তোমার মাঝে এই আস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন যে, “এই ঝুঁকি নেয়া যথার্থ। তাঁর উপস্থিতিই অধ্যাত্মিক, আকর্ষণীয়।
যখন আমি বলি আজ্ঞানুবর্তী হওয়া বন্ধ করো, তখন আমি বলছিঃ স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করো। স্বাধীন হওয়াই ভালো, কারণ তোমরা নির্বোধ রাজনীতিবিদদের আজ্ঞানুবর্তী হয়ে থেকেছো বহুদিন, এবং তারা সহিংসতা ছড়িয়েছে, যুদ্ধ বাঁধিয়ে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয়া ছাড়া আর কিছুই করে নি।
তোমরা বহুদিন মোল্লা, পুরোহিতদের আজ্ঞানুবর্তী হয়ে থেকেছো এবং তারা তোমাদের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা দিয়েছে এবং তোমাদের কাছ থেকে ঈশ্বরের প্রকৃত উপাসনালয় ছিনিয়ে নিয়েছে। তারা তোমাদের অন্য জগতের কথা বলেছে কিন্তু এই জগতকে ধ্বংস করেছে—এবং এটিই একমাত্র জগত তোমার।
সুতরাং আমি যখন বলি কারো দ্বারা শৃংখলাবদ্ধ হয়ো না, তারমানে আমি এটা বলি না যে তোমার বিশৃংল হওয়া উচিৎ; আমি বোঝাতে চাই যে তোমার একটি আভ্যন্তরিণ শৃংখলা গড়ে ওঠা উচিৎ।
তোমার একান্ত নিজের সচেতনতা অনুসারে শৃংখলাবদ্ধ হও। তোমার নিজের সচেতনতাকে অনুসরণ করো, আলো হয়ে ওঠো। এই হলো স্বাধীনতা—একজনে র আলো হয়ে ওঠা।
কিন্তু সমাজ তোমার এই আলো হয়ে ওঠা চায় না, কারণ যদি তুমি আলো হয়ে ওঠো তবে তুমি আর তাদের অর্থহীন ধ্যানধারণা অনুসরণ করবে না যা এতোদিন পর্যন্ত করে এসেছো। এবং অনেক মানুষ আছে যাদের তোমার অসচেতনতার উপর কায়েমি স্বার্থ সুরক্ষিত আছে।
সুতরাং তোমার স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি অসচেতনতা সৃষ্টি করে; সেগুলি সচেতনতার সৃষ্টি করে না। সেগুলি আজ সুদক্ষ রোবট তৈরি করতে সচেষ্ট। তারা তোমাকে জ্ঞান দেয় কিন্তু প্রজ্ঞা নয়, এবং প্রজ্ঞাই হলো প্রকৃত বিষয়। জ্ঞান হলো মিথ্যে, সংশ্লেষী, মানুষের তৈরি, জ্ঞান প্রজ্ঞার মত মনে হয়—এবং বিপদ এখানেই। প্লাস্টিকের ফুলকে প্রকৃত গোলাপের মত মনে হয়, বিপদ এখানেই।
যদি দীর্ঘদিন কোন প্রকৃত গোলাপ না দেখে থাকো তবে তুমি সেটিকেই প্রকৃত গোলাপ ভাবতে শুরু করতে পারো—কারণ এতোদিন পর্যন্ত বারবার তুমি যে ফুল দেখেছো তার সবই প্লাস্টিকের ফুল।
এ কারণেই যীশুকে(আঃ) ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছে; যীশু(আঃ) হলেন প্রকৃত গোলাপ। তা না হলে অন্যরা তুলনা করতে শুরু করবে এবং জানতে পারবে যে, তারা এতোদিন যাকে প্রকৃত গোলাপ ভেবে এসেছে তাতো প্রকৃত নয়, সংশ্লেষী, প্লাস্টিকের ফুল। তারা সেটিকে ছুড়ে ফেলতে পারে! সক্রেটিসকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল কারণ তিনি মানুষকে আরো সচেতন করতে চেয়েছিলেন।
একজন মানুষ যখন সচেতন তখন তিনি বিশৃঙ্খল হতে পারেন না, কিন্তু তাঁর শৃংখলাবোধ আসে নিজস্ব সত্তা থেকে। তিনি কারো কেনা গোলাম নন, তিনিই নিজের মালিক।
সূফীদের মূল কথা হলো এটাইঃ নিজের মালিক হওয়া। ‘স্বামী’ (Swami) শব্দের অর্থ হলো এটাইঃ কারো নিজেই নিজের মালিক হওয়া, নিজে আলোক স্বরূপ হয়ে ওঠা। এবং তখন সেখানে এক ভিন্ন শৃংখলার সৃষ্টি হয়—প্রকৃত শৃংখলা।
একজন সম্বুদ্ধ এইরূপ শৃংখলাপূর্ণ যাপন করেন এবং তুমি সেই আচরণগত পরিমার্জনা দেখতে পারো।
তিনি তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে জীবন যাপন করেন। তাঁর নিজস্ব পথ, নিজস্ব অকৃত্তিম ব্যক্তিস্বভাব বা স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে। তিনি একজন মুক্ত মানুষ—কিন্তু মনে রেখো, একজন মুক্ত মানুষ অবিরাম দ্বান্দ্বিক হবেন কারণ, একজন মুক্ত মানুষকে দ্রোহের জীবন যাপন করতে হয়। মানুষকে এই মূল্য দিতেই হয়।
মানুষ চেতনার আলো হতে পারে। এবং কেবল যখন তুমি চেতনার আলো হয়ে উঠবে কেবল তখনই তোমার জীবন অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে; অন্যথায় অযথা এই জীবন মানিয়ে, ঠেলে গড়িয়ে চলবে। এটা কুৎসিত ব্যাপার, মরুভূমির মত। এই জীবনের মূল্য কী তা সে জানে না, এই জীবনে সুন্দর কী তা জানে না, সে কোন কল্যানকর কিছুর আস্বাদন করে নি, এই জীবন ঐশ্বরিক কোন কিছুর স্পর্শ লাভে সমর্থ নয়।
সে জীবন সত্যের নাগাল পায় না; পেতে পারে না—যদি তুমি অসচেতন থাকো। কেবল একটা বিষয়ই প্রয়োজন আর সেটা হলো জাগ্রত হওয়া।
সত্যকে সতন্ত্র ভাবে খুজুন, কোন ধর্মের মাঝে নয় !! মাওলা মোহাম্মদ(সাঃ) কৃষ্ণ(আঃ) ঈসা(আঃ) বুদ্ধ(আঃ) , সত্যানুসন্ধানীর া কোন ধর্মের মাঝে সত্যকে পায়নি !!! ধর্মের মাঝে সত্য নেই, সত্যের মাঝেই ধর্ম নিহীত !!!
"নিজের সাথে মিথ্যাচার বা চাতুরীর উপর ভিত্তি করে কারো উন্নয়ন হতে পারে না। “মানুষকে অবশ্যই জানতে হবে তার কী আছে” এবং “কী নেই” !!!
আমাদের সকল ধর্মগ্রন্থ সাগরের তীর পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেটা তোমার অজান পথের সঙ্গী হতে পারে না। তা অজানাই থেকে যায়। তাহলে কে তোমাকে এই সাগর তরাবে, সেই অচিহ্নিত স্থানে নিয়ে যাবে?
যদি তুমি কারো উপর আস্থা স্থাপন করো, যদি তুমি কাউকে এমন গভির ভাবে ভালোবাসতে পারো যার জন্য নিজের জীবন বাজি রাখতে পারো...... গুরুই হলেন সেই ব্যক্তি যে তোমার মাঝে এই আস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন যে, “এই ঝুঁকি নেয়া যথার্থ। তাঁর উপস্থিতিই অধ্যাত্মিক, আকর্ষণীয়।
যখন আমি বলি আজ্ঞানুবর্তী হওয়া বন্ধ করো, তখন আমি বলছিঃ স্বরূপে আত্মপ্রকাশ করো। স্বাধীন হওয়াই ভালো, কারণ তোমরা নির্বোধ রাজনীতিবিদদের আজ্ঞানুবর্তী হয়ে থেকেছো বহুদিন, এবং তারা সহিংসতা ছড়িয়েছে, যুদ্ধ বাঁধিয়ে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেয়া ছাড়া আর কিছুই করে নি।
তোমরা বহুদিন মোল্লা, পুরোহিতদের আজ্ঞানুবর্তী হয়ে থেকেছো এবং তারা তোমাদের মসজিদ, মন্দির, গীর্জা দিয়েছে এবং তোমাদের কাছ থেকে ঈশ্বরের প্রকৃত উপাসনালয় ছিনিয়ে নিয়েছে। তারা তোমাদের অন্য জগতের কথা বলেছে কিন্তু এই জগতকে ধ্বংস করেছে—এবং এটিই একমাত্র জগত তোমার।
সুতরাং আমি যখন বলি কারো দ্বারা শৃংখলাবদ্ধ হয়ো না, তারমানে আমি এটা বলি না যে তোমার বিশৃংল হওয়া উচিৎ; আমি বোঝাতে চাই যে তোমার একটি আভ্যন্তরিণ শৃংখলা গড়ে ওঠা উচিৎ।
তোমার একান্ত নিজের সচেতনতা অনুসারে শৃংখলাবদ্ধ হও। তোমার নিজের সচেতনতাকে অনুসরণ করো, আলো হয়ে ওঠো। এই হলো স্বাধীনতা—একজনে
কিন্তু সমাজ তোমার এই আলো হয়ে ওঠা চায় না, কারণ যদি তুমি আলো হয়ে ওঠো তবে তুমি আর তাদের অর্থহীন ধ্যানধারণা অনুসরণ করবে না যা এতোদিন পর্যন্ত করে এসেছো। এবং অনেক মানুষ আছে যাদের তোমার অসচেতনতার উপর কায়েমি স্বার্থ সুরক্ষিত আছে।
সুতরাং তোমার স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি অসচেতনতা সৃষ্টি করে; সেগুলি সচেতনতার সৃষ্টি করে না। সেগুলি আজ সুদক্ষ রোবট তৈরি করতে সচেষ্ট। তারা তোমাকে জ্ঞান দেয় কিন্তু প্রজ্ঞা নয়, এবং প্রজ্ঞাই হলো প্রকৃত বিষয়। জ্ঞান হলো মিথ্যে, সংশ্লেষী, মানুষের তৈরি, জ্ঞান প্রজ্ঞার মত মনে হয়—এবং বিপদ এখানেই। প্লাস্টিকের ফুলকে প্রকৃত গোলাপের মত মনে হয়, বিপদ এখানেই।
যদি দীর্ঘদিন কোন প্রকৃত গোলাপ না দেখে থাকো তবে তুমি সেটিকেই প্রকৃত গোলাপ ভাবতে শুরু করতে পারো—কারণ এতোদিন পর্যন্ত বারবার তুমি যে ফুল দেখেছো তার সবই প্লাস্টিকের ফুল।
এ কারণেই যীশুকে(আঃ) ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছে; যীশু(আঃ) হলেন প্রকৃত গোলাপ। তা না হলে অন্যরা তুলনা করতে শুরু করবে এবং জানতে পারবে যে, তারা এতোদিন যাকে প্রকৃত গোলাপ ভেবে এসেছে তাতো প্রকৃত নয়, সংশ্লেষী, প্লাস্টিকের ফুল। তারা সেটিকে ছুড়ে ফেলতে পারে! সক্রেটিসকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল কারণ তিনি মানুষকে আরো সচেতন করতে চেয়েছিলেন।
একজন মানুষ যখন সচেতন তখন তিনি বিশৃঙ্খল হতে পারেন না, কিন্তু তাঁর শৃংখলাবোধ আসে নিজস্ব সত্তা থেকে। তিনি কারো কেনা গোলাম নন, তিনিই নিজের মালিক।
সূফীদের মূল কথা হলো এটাইঃ নিজের মালিক হওয়া। ‘স্বামী’ (Swami) শব্দের অর্থ হলো এটাইঃ কারো নিজেই নিজের মালিক হওয়া, নিজে আলোক স্বরূপ হয়ে ওঠা। এবং তখন সেখানে এক ভিন্ন শৃংখলার সৃষ্টি হয়—প্রকৃত শৃংখলা।
একজন সম্বুদ্ধ এইরূপ শৃংখলাপূর্ণ যাপন করেন এবং তুমি সেই আচরণগত পরিমার্জনা দেখতে পারো।
তিনি তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে জীবন যাপন করেন। তাঁর নিজস্ব পথ, নিজস্ব অকৃত্তিম ব্যক্তিস্বভাব বা স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে। তিনি একজন মুক্ত মানুষ—কিন্তু মনে রেখো, একজন মুক্ত মানুষ অবিরাম দ্বান্দ্বিক হবেন কারণ, একজন মুক্ত মানুষকে দ্রোহের জীবন যাপন করতে হয়। মানুষকে এই মূল্য দিতেই হয়।
মানুষ চেতনার আলো হতে পারে। এবং কেবল যখন তুমি চেতনার আলো হয়ে উঠবে কেবল তখনই তোমার জীবন অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে; অন্যথায় অযথা এই জীবন মানিয়ে, ঠেলে গড়িয়ে চলবে। এটা কুৎসিত ব্যাপার, মরুভূমির মত। এই জীবনের মূল্য কী তা সে জানে না, এই জীবনে সুন্দর কী তা জানে না, সে কোন কল্যানকর কিছুর আস্বাদন করে নি, এই জীবন ঐশ্বরিক কোন কিছুর স্পর্শ লাভে সমর্থ নয়।
সে জীবন সত্যের নাগাল পায় না; পেতে পারে না—যদি তুমি অসচেতন থাকো। কেবল একটা বিষয়ই প্রয়োজন আর সেটা হলো জাগ্রত হওয়া।
সত্যকে সতন্ত্র ভাবে খুজুন, কোন ধর্মের মাঝে নয় !! মাওলা মোহাম্মদ(সাঃ) কৃষ্ণ(আঃ) ঈসা(আঃ) বুদ্ধ(আঃ) , সত্যানুসন্ধানীর
কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন