Recent Post

শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৮

রচন্দ্র ও রতি সাধন

রচন্দ্র ও রতি সাধন "চারচন্দ্র" ভেদ সাধনা বাউল মতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । 'ভেদ' অর্থ 'পান করা' বা 'অতিক্রম কর... thumbnail 1 summary



রচন্দ্র ও রতি সাধন
"চারচন্দ্র" ভেদ সাধনা বাউল মতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । 'ভেদ' অর্থ 'পান করা' বা 'অতিক্রম করা' কিংবা 'স্বরূপ উপলব্ধি করা' । চদ্র সম্পর্কে বাউলদের মধ্যে মত পার্থক্য বর্তমান । নাথ সম্প্রদায়ের ধর্ম সাধনা গ্রন্থ 'গোরক্ষ বিজয়' - এ চার চন্দ্রকে 'আদি চন্দ্র', 'শ্বেত চন্দ্র,
, 'উন্মুত্ত চন্দ্র' ও 'সরল চন্দ্র' বলা হয় । বাউলরা এর নাম দিয়েছে - শুক্র, রজঃ , বিষ্ঠা ও মূত্র । এই চার চন্দ্রের সাধনাকে রস সাধনা বলে । চার চন্দ্র ভেদ সম্পর্কে সুফি ও বাউলদের মধ্যে শুধু অর্থগত নয় বস্তুগত পার্থক্যও রয়েছে । হিন্দু বাউলরা শুক্র, রজঃ , বিষ্ঠা ও মূত্র এই চারচন্দ্র সাধনা করে বা চারচন্দ্র ভেদের গুপ্ত সাধনা হিন্দু বাউলদের মধ্যে দেখা যায় । চারচন্দ্র ভেদ সম্পর্কে সুফিদের রয়েছে ভিন্ন মত । সৃষ্টি তত্ত্ব অনুযায়ী 'আব' (পানি), 'আতস' (তেজ), 'খাক' (ক্ষিতি), 'বাত' (বায়ু) এই চার চিজ দ্বারা জীব দেহ গঠিত হয়েছে । সূক্ষ্ম আকারে এই চার চিজ গুলো 'চারচন্দ্র' রূপে জীব দেহে অবস্থান করে । বাংলাদেশে 'ওয়াস ওয়াসিয়া' (ওয়াজ করণী কর্তৃক প্রবর্তিত) তরিকায় 'আব' (পানি), 'খাক' (মাটি), 'তেজ'(আগুন), ও 'বাত' (বাতাস) এই চার উপাদানকে 'চারচন্দ্র' বলে । এই চারচন্দ্র দ্বারা মানব দেহ গঠিত । ওয়াসওয়াসিয়া তরিকায় এই 'চারচন্দ্র' ভেদ সাধনা প্রচলিত । এই সাধনায় সুফি প্রভাব বিদ্ধমান ।
এই চারচন্দ্র সাধনার জন্য বাউলরা সমাজে নিন্দিত । কিন্তু স্ব-সমাজে তারা প্রশংসিত । চারচন্দ্র ভেদের ক্ষমতা সম্পর্কে বাউলরা বলে -
"চারচন্দ্র ভেদের কথা যে জন জানে
মানুষ তো দূরের কথা
তেত্রিশ কোটি দেবতা তার কথা মানে । "
অর্থাৎ সৃষ্টি জগতের সব কিছুই তার বশীভূত হয় । বাউলদের বিশ্বাস 'চারচন্দ্র' সাধন করলে দেহ জ্বরা ও রোগ ব্যাধির কবল থেকে মুক্ত থাকে । উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের 'বাংলার বাউল ও বাউল গান' গ্রন্থে পাওয়া যায় -
"চারচন্দ্রের নিরূপণ, জানগা মন তার বিবরন
জানলে পরে জীব দেহেতে ঘুচে যেত কুমতি । "
'চারচন্দ্র' ভেদ বাউল সাধনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ । চারচন্দ্র ভেদ সাধনার গুরুত্ব সম্পর্কে শক্তিনাথ ঝা একটি প্রবাদে উল্লেখ্য করেছেন -
"চারচন্দ্র আলেক সাঁই
তার উপরে কর্ম নাই । "
'চন্দ্র' অর্থ চাঁদ । আঞ্চলিক ভাষায় একে 'চাঁন' বলা হয় । সাধারণত বাউলরা গুরুকে 'চাঁন' বলে সম্বোধন করে থাকে । বাউল পদাবলীতে দয়ালচাঁন, মুর্শিদচাঁন, পাগলচাঁন প্রভৃতি শব্দে সম্বোধন করতে দেখা যায় । বাউলর

কোন মন্তব্য নেই

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন